Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ মে ২০২৪

এনআইবি এলোভেরা-১

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে লিফস্পট প্রতিরোধী এলোভেরার জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতটি “এনআইবি এলোভেরা-১” নামে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধন লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশে এলোভেরার নিবন্ধিত একমাত্র জাত। জাতটি সারা দেশে চাষ করা যাবে।

 

 

এনআইবি এলোভেরা-১

 

 

জাতটির বিশেষত্বঃ

(১) কোন বালাইনাশক ব্যবহার না করলে লিফ স্পট রোগের সংক্রমণ কিছুটা দেখা যায়। তবে এই জাতটি এই রোগের প্রতি সহনশীল এবং রোগজনিত পাতার ক্ষতি (ডিজিজ সিভিয়ারিটি) স্থানীয় জাতের তুলনায় অনেক কম। বাহ্যিক ভাবে দাগ দেখা গেলেও ওধিকাংশ ক্ষেত্রে পাতার অভ্যন্তরে থাকা জেল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। অর্থাৎ, কিছুটা রোগ সংক্রমণ দেখা গেলেও সেকারণে ফলন তেমন কমে না। তবে নুন্যতম পরিমান (১০ ভাগের ১ ভাগ) বালাইনাশক প্রয়োগ করলে ফসল লিফস্পট রোগমুক্ত থাকে।

 

(২) অনুরূপ পরিবেশে মাঠ পরীক্ষায় দেখা যায় এই জাতের ফলন প্রচলিত স্থানীয় জাতের চেয়ে প্রায় ২০% বেশি।

 

(৩) রোগ সহনশীলতার কারণে এতে বালাই নাশক খুবই কম লাগে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম লাগবে। অর্থ্যাৎ এই জাতটি কৃষকের জন্য অধিক লাভজনক। এছাড়া বালাইনাশক রেসিডিউ কম থাকে বলে এর পাতা ব্যবহার ভোক্তার জন্য অধিকতর নিরাপদ।

 

(৪) এই জাত চাষে বালাইনাশক, চুন প্রভৃতি খুব কম ব্যবহার করতে হয় বিধায়, মাটির উর্বরাশক্তি বজায় থাকে ও পরিবেশ দুষণ কম হয়।

 

জাতটি উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. ইফতেখার আলম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্ল্যান্ট বায়োটেকনোলজি বিভাগ। জাতটির বিস্তারিত তথ্য, এলোভেরার বাণিজ্যিক চাষাবাদ সহ অন্যান্য তথ্য ও পরামর্শের জন্য উদ্ভাবকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

 

 

 

এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশের কৃষিতে এলোভেরা বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ব্যবহারের পাশাপাশি, একাধিক প্রতিষ্ঠান এলোভেরার পাতা থেকে জেল আহরণ করে তা বিদেশে রপ্তানী করে থাকে। এলোভেরা চাষে একটি মারাত্মক সমস্যা হল লিফস্পট রোগ। লিফস্পটযুক্ত এলোভেরার পাতার বাণিজ্যিক মুল্য প্রায় থাকে না। যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না নিলে এই রোগে ফসল সম্পুর্ণ বিনষ্ট হতে পারে। দেশে চাষকৃত এলোভেরার স্থানীয় জাত লিফস্পট রোগে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ বেশ ব্যয়বহুল। কাজেই জেনেটিকভাবে রোগ প্রতিরোধী জাত দেশের এলোভেরা উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে।