Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ নভেম্বর ২০২৪

এনিমেল ল্যাব হোম

এনিমেল ল্যাব হোম প্রকল্প জনবল প্রকাশনা যোগাযোগ

 

এনিমেল বায়োটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজির এমন এক বিস্তৃত কৌশল যার মাধ্যমে প্রাণি ও প্রাণি খাদ্যের কৌলিক উন্নয়ন, প্রাণির প্রতিষেধক টীকা পদ্ধতির উন্নয়ন ও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, রোগ শনাক্তকরন পদ্ধতির উন্নয়ন ও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন  ইত্যাদি করা হয়। তাছাড়াও  ক্লোনিং এবং জেনেটিক  ইঞ্জিনিয়ারিং  মানুষের ক্ষেত্রে বিতর্কিত হলেও এই কৌশল এনিমেল বায়োটকনোলজির সাথে ক্রমশই অংগাঅঙ্গি ভাবে জড়িত হয়ে পড়ছে। পশুপাখি ও প্রাণি থেকে আমরা দুধ, মাংস ও ডিম পাই। স্বল্প আয়ের কৃষক ও ভূমিহীনদের জন্য এটি একটি কর্ম সংস্থানেরও উৎস। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নবীনতম রাষ্ট্র যা ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া পাকিস্থান বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। পরে এটি একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। অদ্ভূদয়ের পর থেকেই এদেশের প্রাণি বিজ্ঞানীরা মানুষের  প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি  পূরণের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। এখনো লক্ষে পৌঁছতে পারেনি। আমাদের মাথাপিছু প্রাণীজ প্রাণিজ আমিষের প্রাপতার পরিমাণ এখনো ৪০%। উদাহরণ স্বরূপ, জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি অনুসারে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিনের খাবারে ২৫০ মিলি দুধ থাকা দরকার কিন্তু আমরা গড়ে প্রতিদিন ৪২ মিলি দুধ পেয়ে থাকি যা প্রাপ্যতার  একপঞ্চমাংশ দেশীয় ও উন্নত জীবপ্রযুক্তি কৌশল ব্যাবহারের করে  প্রাণির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা  বৃদ্ধির মাধ্যমে  প্রাণিজ আমিষের এই ঘাটতি পূরণের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে এনআইবি’র  এনিমেল বায়োটকনোলজি বিভাগ।

 

 

বিভাগের লক্ষ্য:

  • বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে প্রাণির উৎপাদন, উৎপাদন ক্ষমতা ও উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র বিমোচন এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
  • জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও এর মাধ্যমে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বায়োটেকনোলজি নির্ভর কারখানায় এই টেকসই প্রযুক্তির ব্যাবহার করা।  

 

গবেষণার ক্ষেত্র সমূহঃ

  • উন্নত জাতের প্রাণি নির্বাচন পদ্ধতি ও প্রাণির কৌলিক বৈশিষ্টের উন্নয়ন।
  • রোগ নির্ণয়ের মলিকুলার পদ্ধতির  উদ্ভাবন, রোগসৃষ্টিকারি জীবাণু শনাক্তকরণ ও এ থেকে প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক তৈরি, সহজে  রোগ নির্ণয়ের কীট  উদ্ভাবন ইতাদি।
  • অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ সনাক্তকরণ এবং প্রশমন।

 

বিভাগের অর্জন:

  • কোরিও এলান্টয়িক মেমব্রেন (CAM) রুটে ভাইরাসের প্রোপাগেশন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
  • পোষা বিড়াল থেকে বাংলাদেশী Raoultella ornithinolytica স্ট্রেইনের প্রথম রিপোর্ট এবং জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে।
  •  ব্যাকটেরিওফাজ  স্ক্রীনিং, পরিশোধন এবং চরিত্রায়ন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।   
  • গরুর দুধে প্রধান প্রোটিন বিটা-ক্যাসিনের জেনেটিক প্রকরণ বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

 

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাঃ

 

  • গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগির রোগের আণবিক সনাক্তকরণ
  • পোষা প্রাণীদের মধ্যে ঝুঁকির কারণগুলির সাথে জুনোটিক রোগ
  • ইন ভিট্রো ভ্রূণ উৎপাদন
  • গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগির জন্য ভ্যাকসিনের উন্নয়ন
  • প্রাণীদের সম্পূর্ণ-জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং উন্নয়ন ও উৎপাদনে তাদের ব্যবহার
  • পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য লোকি (QTL) ম্যাপিং এবং উন্নয়ন ও উৎপাদনে তাদের ব্যবহার
  • বীর্য সেক্সিং
  • মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি উৎপাদন 
  • প্রাণিসম্পদ এবং হাঁস-মুরগির রোগ নির্ণয়ের কিট উন্নয়ন
  • জিন ক্লোনিং
  • মনো ক্লোনাল এন্টিবডি উৎপাদন
  • প্রতিষেধক উন্নয়ন ও উৎপাদন
  • ব্যাক্টেরিওফাজ উৎপাদন