Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ মে ২০১৭

এনিমেল ল্যাব হোম

এনিমেল ল্যাব হোম প্রকল্প জনবল প্রকাশনা যোগাযোগ

এনিমেল বায়োটেকনোলজি বা প্রাণী জীবপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজির এক বিশেষায়িত শাখা যেখানে ব্যাপক পরিসরে জীবকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাণী ও প্রাণী খাদ্যের কৌলিক উন্নয়ন, প্রতিষেধক টীকা উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, এন্টিজেন, এন্টিবডি উৎপাদন, রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতির উন্নয়ন ও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন ইত্যাদি করা হয়। তাছাড়া ক্লোনিং এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মানুষের ক্ষেত্রে বিতর্কিত হলেও এই জীবপ্রকৌশল প্রাণী জীবপ্রযুক্তির সাথে অংগাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।

 

পশুপাখি ও প্রাণী হতে আমরা দুধ, মাংস ও ডিম পাই। স্বল্প আয়ের কৃষক ও ভূমিহীনদের জন্য প্রাণী সম্পদ কর্মসংস্থানেরও উৎস। অভ্যুদয়ের পর থেকেই এদেশের সংশ্লিষ্ঠ বিজ্ঞানীগণ মানুষের জন্য প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও এখনো লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। আমাদের মাথাপিছু প্রাণীজ আমিষের প্রাপ্যতার পরিমাণ এখনও মাত্র শতকরা ৪০ ভাগ। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি অনুসারে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিনের খাবারে ২৫০ মিলি দুধ থাকা দরকার কিন্তু আমরা গড়ে প্রতিদিন ৪২ মিলি দুধ পান করে থাকি যা প্রাপ্যতার মাত্র একপঞ্চমাংশ। দেশীয় ও আধুনিক জীবপ্রযুক্তি কৌশল ব্যবহার করে প্রাণীর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এনআইবি-এর এনিমেল বায়োটকনোলজি বিভাগ।  

 

 

 

 

 

 

 

বিভাগের লক্ষ্য

 

  • বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে প্রানীর উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের মানোন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা;
  • টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বায়োটেকনোলজি নির্ভর শিল্পকারখানায় এই প্রযুক্তির প্রায়োগিক ব্যবহার;
  • জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ।

 

গবেষণার ক্ষেত্র সমূহ

 

  • উন্নত জাতের প্রাণী নির্বাচন পদ্ধতি ও প্রানীর কৌলিক বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন;
  • মলিকুলার পদ্ধতির সাহায্যে রোগ নির্ণয়, রোগ সৃষ্টিকারি জীবাণু শনাক্তকরণ;
  • রোগ নির্ণয়ের কীট এবং প্রতিষেধক টীকা উদ্ভাবন ও এন্টিবডি উৎপাদন, ইতাদি।

 

বিভাগের অর্জন

 

  • ছাগল, হাঁস ও মুরগীর রক্ত হতে ডিএনএ পৃথকীকরণ ও পিসিআর পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ।
  • ভাইরাস হতে আরএনএ পৃথকীকরণ ও পিসিআর পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ।
  • এনিমেল সেল কালচারের সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ।
  • ফ্রাগমেন্ট লেন্থ এনালাইসিস এর মাধ্যমে ছাগলের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ।

 

ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা

 

  • কিউটিএল ম্যাপিং
  • ডিএনএ বার কোডিং
  • সিমেন সেক্সিং ও এমব্রায়ো উৎপাদন
  • জীন ক্লোনিং
  • মনোক্লোনাল এন্টিবডি উৎপাদন
  • প্রতিষেধক উৎপাদন ও উন্নয়ন