জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও জীবপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে, ১৯৯৯ সালে ঢাকার অদুরে সাভারের গণকবাড়ীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সাথে উদ্ভাবিত জীবপ্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে স্থানান্তরে সহায়তা প্রদান, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফুড/অর্গানিজম (জিএমও) এর মান নির্ণয়ন ও প্রত্যয়ন, নীতিমালা প্রণয়ন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগসূত্র স্থাপন এবং এ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আইন ২০১০’ ও ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী প্রবিধানমালা ২০১১’ অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্বলিত ৬ টি গবেষণা বিভাগ যথা এনিমেল, এনভায়রনমেন্টাল, ফিশারিজ, মাইক্রোবিয়াল, মলিকিউলার ও প্ল্যান্ট বায়োটেকনোলজি এর মাধ্যমে কৃষি, পরিবেশ, শিল্প ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এনআইবি’র গবেষকদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে থিসিস করার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া স্নাতক, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ গবেষণা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মিতভাবে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এনআইবি বাংলাদেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোজি (ICGEB)’, ত্রিয়েস্তে, ইতালি-এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে দেশের গবেষকদের জন্য ফেলোশিপ ও অনুদান প্রাপ্তিতে সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করছে। এছাড়া সার্ক (SAARC) এর জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশের নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে।
ইতোমধ্যে এনআইবি ন্যাশনাল জীনব্যাংক স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া জিএমও টেষ্টিং ও সার্টিফিকেশন ল্যাবরেটরি, গবেষণায় ব্যবহৃত ক্ষয়িষ্ণু সামগ্রী ও রাসায়নিক দ্রব্যের জন্য সংরক্ষণাগার এবং জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।