পোল্ট্রি বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পোল্ট্রিতে রোগ সৃষ্টি করে এবং খাদ্যজনিত সংক্রমণ ঘটায় যা মানব স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়। বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, বিশ্বের অনেক জায়গার খামারে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধ বা গ্রোথ প্রোমোশন এর জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় যা এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী প্যাথোজেন উদ্ভূত করতে অবদান রাখে। এমনকি বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে বহু এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সালমোনেলা হল পোল্ট্রি থেকে রিপোর্ট করা সবচেয়ে কমন ব্যাকটেরিয়াগুলির মধ্যে একটি এবং এটি সাধারণত পোল্ট্রিতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী। অতএব, এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া এবং পোলট্রিতে সালমোনেলোসিস নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য এবং সাশ্রয়ী জৈব-নিয়ন্ত্রণ কৌশল প্রয়োজন। সুতরাং, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্যাথোজেনিক এবং জুনোটিক সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি বিকল্প কৌশল হিসাবে ব্যাক্টেরিওফাজ এর ব্যবহারের জন্যই এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ছবি ১: ব্যাক্টেরিওফাজ পৃথকীকরণ ও পিউরিফিকেশন।
চলমান কার্যক্রমঃ হোস্ট ব্যাকটেরিয়া পৃথকীকরণ, ব্যাক্টেরিওফাজ পৃথকীকরণ ও পিউরিফিকেশন, স্ক্রীনিং (হোস্ট রেঞ্জ এনালাইসিস লাইটিক অ্যাক্টিভিটি এবং EOP), স্ট্যাবিলিটি চরিত্রায়ণ (অপটিমাম MOI তাপমাত্রা, পিএইচ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, ক্লোরোফর্ম), জিনোম সিকোয়েন্সিং, ডেটা বিশ্লেষণ, বায়োকন্ট্রোল পরীক্ষা (ইন ভিট্রো)।