আবহমানকাল হতে জীবজগতের প্রতিটি প্রাণী খাদ্য ও রোগ নিরাময়ের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গাছপালা শস্য উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম ইত্যাদির উপর নিভরশীল। পরিবেশবান্দব ও নিরাপদ ঔষধ এবং কীটনাশকের জন্য ভেষজ উদ্ভিদ মানব কল্যাণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ইহা পরীক্ষিত সত্য যে, নানারকম ভেষজ উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশের নিযাস ভাইরাস বিরোধী যৌগের একটি ভাল উৎস। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রাপ্ত বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ যেমন এলোভেরা (ঘৃতকুমারী), নিম, পেয়ারা, পেঁপে, ইত্যাদি মানুষের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হাজার বছর ধরে প্রাগৈতিহাসিক মিশর, গ্রীস, রোম, চীন, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন সমাজে মানুষের রোগ নিরাময়ে এলোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণালব্ধ ফলাফল হতে দেখা যায় যে এলোভেরাসহ বিভিন্ন উদ্ভিদে প্রাপ্ত এন্থ্রাকুইনান সমৃদ্ধ নিযাসের জীবাণু বিরোধী, প্রদাহ-নাশক এবং ক্যান্সার বিরোধী কার্যকারিতা রয়েছে। তাছাড়া, আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে হাঁসমুরগীর রাণীক্ষেত রোগের চিকিৎসায় এলোভেরা জাতিগত পশুচিকিৎসা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্ত বাংলাদেশে প্রাপ্ত এলোভেরার হাঁসমুরগীর রাণীক্ষেত রোগের ভাইরাসবিরোধী কার্যকারিতা আছে কিনা সে সম্পকে কোন গবেষণা ফলাফল নেই। এরই প্রেক্ষিতে নিউক্যাসেল রোগের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এলোভেরার কার্যকারিতা পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
চলমান কার্যক্রম: